আজ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অফিসিয়ালি যুক্ত হলো বাংলাদেশের রাজনীতিতে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও সরকারবিরোধী আন্দোলনে থাকা প্রধান দল বিএনপিকে আগামী সাধারণ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক সংকট সমাধোনে শর্তহীন সংলাপ করতে চিঠি দিয়েছে। এটা কেবল ডোনাল্ড লু’য়ের চিঠি নয় (এই লু কিন্তু টু প্লাস টু মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন), বরং এন্টনি ব্লিঙ্কেনের চিঠি হিসাবে ধরে নিতে হবে। আর এর অনুমোদন অবশ্যই প্রেসিডেন্ট বাইডেন থেকে এসেছে। আর এটা উল্টানোর ক্ষমতা হাসিনা রেজিমের নাই। আর বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইউএস কেনো ঢুকলো, তার ম্যান্ডেট হলো, হাসিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন গত মে মাসেই মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী এন্টনি ব্লিংকেনকে অনুরোধ করে আসে, “বিএনপিকে বলেন নির্বাচনে আসতে”! এটাই হলো যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ সংকটে যুক্ত হওয়ার আমন্ত্রন।
শেখ হাসিনা ধরে নিয়েছিলেন, দিল্লিতে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ভারতের টু-প্লাস-টু মিটিংয়ের পরে মোদির কাছ থেকে কোনো একটা মেসেজ আসবে। কিন্তু সিগনাল না পেয়ে সে দিশাহারা হয়ে গালিগালাজ, চিৎকার শুরু করেছে! মাথা খারাপের মত “তুই আয় দেইখা ছাড়ব”, “আগুনে ফেলব”- এমন আওয়াজ দিয়ে তিনি অরাষ্ট্রনায়কোচিত ব্যবহার এবং যুদ্ধাপরাধের অপরাধ করলেন।
টু-প্লাস-টু মিটিং চলাকালে রাশিয়ানরা বার্মাতে নৌমহড়া করে। সেখান থেকে দুটি সাবমেরিন চেজার জাহাজ চিটাগাঙ পোর্টে আসার বিষয়টি সন্দেহজনক। ঢাকার রেজিম রাশিয়ান সমর্থন দেখানোর উদ্দেশ্যে এগুলো এদিকে ডাইভার্ট করতে অনুরোধ জানায় বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে সাথে অয়েল ট্যাংকার থাকার অর্থ হচ্ছে, রিফুয়েলিং করার অযুহাত। কিন্তু এই ঘটনার পরে যদি আটলান্টিকের ওপার থেকে সতর্কতা আসলে কালকের মধ্যে সরে যেতে হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, হাসিনা রেজিম যত চেষ্টাই করুক না করুক, যুক্তরাষ্ট্রের চিঠির পরে আর শিডিউল দেয়া সম্ভব হবে না, ফলে একতরফা নির্বাচনও করতে পারছে না। তাকে সিস্টেমে আসতেই হবে। মাঝখানে তার পুত্রের বিচারের ইস্যু তো পেন্ডিং রইলই।
ফলাফল হলো, যত রেগে গেলেন, তত হেরে গেলেন!