বিশেষ প্রতিবেদন।।
কথা ছিল, ২০১৮ সালের নির্বাচনের পরে রেহানাকে সাইড দিবে হাসিনা। অনেক তো হলো। কিন্তু রেহানা এবং ভারতের সব লোক বাদ দেয়ার পরে রেহানা বুঝে গেছে হাসিনা তাকে ব্লাফ দিয়েছে। যে কেবিনেট সাজিয়েছে, তা শুধু জয়ের ভবিষ্যতে ল্যান্ডিয়ের জন্য। এতে ভারত আউট হয়েছে, সাথে রেহানা ও তার ছেলে ববিরও কপাল পুড়েছে। যতই মাথা নষ্ট হোক না কেনো, বাবা জয়ের জন্য ক্ষেত্র তৈরি করেছে চার বারের ক্ষমতায় থাকা বড় বোন হাসিনা। প্রয়োজনে বোধে রাজাকারদের পুত্রবধু পুতুল বসবে!
রেহানার সাইডে থাকায় দীর্ঘ তিন বারের মত কেবিনেট থেকে বাদ পড়লো কাজিন শেখ সেলিম। এরপরে আর কোনো ভরসা নাই। তাই সেলিম, আমু, তোফায়েলরা সবাই রেহানাকে নিয়ে সামনে দিকে আগানোর পরিকল্পনা চুড়ান্ত করেছে। ভারতের সাথে কথাবার্তা হয়েছে। তাদের সামনে এর চেয়ে আর কোনো ভালো বিকল্প নাই।
বাইরে যতই দৃশ্যমান গলাগলির নাটক হোক না কেনো, শীঘ্রই হাসিনাকে দলীয়ভাবে চ্যালেঞ্জ করতে যাচ্ছে রেহানা। ভোট কারচুপির দুর্নামের পরে সারা বিশ্বে যখন অবস্থা নাজুক, চীন কানেকশনে ভারত বৈরী- এখনই উপযুক্ত সময় হিট করার। নইলে পরে আর হবে না। এভাবে গৃহবিবাদ থেকে রাষ্ট্র বিবাদে জড়িয়ে পড়েছে শেখ ডাইনেস্টি। হাসিনাও কম যান না। তিনিও খোঁজখবর রাখছেন চারদিকে। মাল মশলা নিয়ে তৈরি হয়ে আছেন। গত ২২ বছর ধরে রেহানার স্বামী শফিক সিদ্দিক প্যারালাইজ্ড হয়ে বসবাস করেন বনানী ১৫ নম্বর রোডে। এই সময়ে রেহানার পুকিপুকি খেলার পার্টনার হলো ডা. ইকবাল, আবুল হোসেন, এবং আপন দেওর তারিক সিদ্দিক। তাদের রঙ্গলীলার বেশ কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ ও সচিত্র রেকর্ড নিয়ে বড়’পা তৈরি হয়ে আছেন। সাথে আছে লন্ডনের শত বাড়ি, বিলিয়ন পাউন্ডের ব্যাংক ব্যালেন্স, চাঁদাবাজির হাজার হাজার ডকুমেন্ট। ঝামেলা বাধালেই ফাঁস করে দিয়ে পাবলিক নুইসেন্সের সম্মুখীন করা হবে রেহানাকে।
খবরের সূত্র শফিক সিদ্দিকী। (via bdpolitico.com)