বাংলাদেশের আওয়ামী সরকারের পাহারাদার হিসাবে পরিচিত তিনটি প্রধান গণমাধ্যমের তিনজন সম্পাদক পদত্যাগ করেছেন বা পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন নানা কারণে। এই তিনজনের মধ্যে একজনকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে, একজনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে এবং একজন পদত্যাগ করেছেন।
এই তিন সম্পাদকের বিষয়টি এখন বাংলাদেশি মিডিয়ার টপিকে, তাই এমন ঘটনায় অনেক সম্পাদকই কিছুটা বিব্রত। তবে এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কেউ কিছু বলতে রাজি নন।
প্রথম ঘটনাটি ঘটে চলমান মাসের ৪ নভেম্বর। দৈনিক কালবেলার প্রধান সম্পাদক আবেদ খানকে হঠাৎ করে অপসারণ করা হয়েছে, কারণ তার বিরুদ্ধে তদন্তে জানা গেছে যে তিনি সরকারের বিরুদ্ধে কাজ করছেন এবং তিনি দেশবিরোধী ও প্রতিষ্ঠাবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযুক্ত হন যখন তিনি ৭ অক্টোবর “আসছে মার্কিনি ঝড়” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন লিখেছিলেন। এটা নিয়ে সম্পাদক সন্তোষ শর্মার সাথে ক্যাচালে জড়িয়ে উল্টো ফেঁসে যান আবেদ।
এদিকে, সিকদার গ্রুপের মালিকানাধীন অনলাইন ‘বাংলাদেশ পোস্টে’র সম্পাদক শরীফ শাহাব উদ্দিন দুই দিন পর ৬ নভেম্বর আলোচনায় আসেন। মিডিয়া হাউসের সাংবাদিক ও কর্মচারীরা তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি অনিয়মের অভিযোগ এনে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। বাড়ির সাংবাদিক ও কর্মচারীরা শুধু তাকে অবাঞ্ছিত করেই ক্ষান্ত হননি তারা বাংলাদেশ পোস্টের প্রিন্ট ও অনলাইন সংস্করণে শরীফ শাহাব উদ্দিনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে একটি সংবাদ প্রকাশ করেন।
অন্যদিকে, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদকের পদটি গত ৭ নভেম্বর আলোচনার টেবিলে উঠে আসে। কিছুদিন আগে ভারতীয় সাংবাদিক ও কলাম লেখক চন্দন নন্দীর একটি কলাম ছাপানের কারণে সরকারের নির্দেশে কয়েক সপ্তাহ বন্ধ থাকে, তখন থেকেই তৌফিকের বিদায় ঘন্টা বাজছিল। এবারে তৌফিক ইমরোজ খালিদি ঘোষণা দেন যে তিনি অনলাইন মিডিয়ার প্রধান সম্পাদকের পদ ছাড়ছেন। সেই জায়গায় নতুন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন বিশ্বদীপ দাস বলেও জানা গেছে।
এই তিন সম্পাদকের পতন নিয়ে দায়িত্বশীল কেউ কথা না বললেও আওয়ামী বুদ্ধিজীবি শিবিরে শীতল হাওয়া বইছে।