এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বা র্যাবের মহাপরিচালক পদে কর্মরত পুলিশের ১ম গ্রেডপ্রাপ্ত অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেনের স্ত্রী দিলরুবা খুরশিদ বেবির লাশ তার গুলশানের বাসা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে গুলশানের নিজ ভবনে তার মৃত্যু হয় বলে র্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান। তার দাবী, র্যাব মহাপরিচালক সহধর্মিণী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন।
কিন্তু নিহতের আত্মীয় স্বজনরা এই মৃত্যুকে অস্বাভাবিক বর্ণনা করে এর সুষ্ঠু তদন্ত দাবী করেন। পুলিশ সোর্স জানায়, এই মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। মূলত আমেরিকান ভিসা নীতির আওতায় স্যাংশনে পড়ে নিহত বেবির ছোটভাইকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়, পাচার করা তাদের ২০০ কোটি টাকা আমেরিকায় বাজেয়াপ্ত হয়েছে, ছোট ছেলেকে কানাডা থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এই নিয়ে প্রতিদিন বাসায় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কলহ, মারামারি লেগেই থাকত। ক্রাইম রিপোর্টারদের সূত্র মতে, পারিবারিক কলহে পিটিয়ে মেরে ফেলার পরে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। নিহতের ঢাকায় কোনো জানাযা হয়নি। গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে আজ সকালে জানাযা শেষে ৭টায় দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য এই মৃত্যু নিয়ে শুরু থেকে বার বার খবর সন্দেহজনকভাবে পরিবর্তন করা হয়। প্রথমে কালবেলা পত্রিকায় লেখা হয়, লাশ উদ্ধার। ঘন্টা খানেক পরে হয়ে যায় মৃত্যু। এরপরে নিহতের নানাবিধ অসুখের খবর। পরে স্ট্রোক করে মারা যাওয়ার খবর। অথচ ভেতরের খবর হলো, পারিবারিক কলহ, আঘাত, এবং আত্মহত্যার নাটক। আর পুলিশী তদন্ত এবং খবর যাতে বের না হয়, সেজন্য তড়িঘড়ি করে লাশ গ্রামে পাঠিয়ে দেয়া হয় কড়া নিরাপত্তায়।
র্যাব মহাপরিচালক খুরশীদ হোসেন বিসিএস ১২ ব্যাচের সদস্য। গত জুনে অবসরের পরে আরো এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ লাভ করেন। তার এক ছেলে সেনাবাহিনীর মেজর পদে কর্মরত।