সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের আমলা, পুলিশ, বাংলাদেশ ব্যাংক কমর্কর্তা, রাষ্ট্রিয় গোয়েন্দা সংস্থা, বিটিসিএল কর্মকর্তাসহ আওয়ামী দলীয় ক্রিমিনালরা যারা গত ১৫ বছর একনাগাড়ে মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে ইউরোপ, আমেরিকাসহ দুবাই, মালয়েশিয়ায় সম্পদের পাহাড় গড়ে এদেশের অর্থনীতিকে উগান্ডা বানিয়েছেন তারা পাকিস্তান, শ্রীলংকার বেতাল রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উপাখ্যান দেখে বিভিন্ন অজুহাতে দেশ ছাড়ছে। এমনকি বড় বাহিনীর স্বঘোষিত চেতনাধারী পোশাকিরাও যারা গত ১৫ বছর আকাম কুকাম করে আওয়ামীদের টিকিয়ে রেখেছিলো তারাও লাইন ধরছে এয়ারপোর্টে । এরা শুধু একা না বউ বাচ্চাদের সাথে নিয়ে চলে যাচ্ছেন।
তার প্রমান শেয়ার বাজার মাফিয়া সালমান এফ রহমান এসবি প্রধান মনিরুলসহ কয়েকদিন আগে জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়ে সিভিল এভিয়েশন ও বিমান বন্দরের ইমিগ্রেশন অফিসারদের শাসিয়ে আসা এবং তিনি বেশ দাম্ভিকতা নিয়েই বলেছেন যে তিনি প্রধানমন্ত্রীর আদেশেই বিমানবন্দর পরিদর্শনে এসেছেন। তিনি ইমিগ্রেশন অফিসার এবং সিভিল এভিয়েশন কর্মকর্তাদের আদেশ দিয়েছেন যেন যত্র তত্র যাত্রীদের হয়রানি না করা হয়। যেমন কোনো আমলা কিংবা সরকারী কর্মকর্তার বিদেশ ভ্রমনের সরকারী আদেশ(জিও) আছে কিনা, অথবা কোন অর্থ পাচারকারী বা দন্ডিত আসামীর দেশত্যাগ সংক্রান্ত আদালতের আদেশ আছে কিনা, এই সব নিয়ে বাড়াবাড়ি যেন না করে। সোজা কথা, দেশ ছাড়তে বাধা দেয়া যাবে না। আবার দুবাই বা অন্য কোথা থেকে ফেরত পাঠালেও কিছু জিজ্ঞেস করা যাবে না। ঢাকা ইমিগ্রেশনকে এক ধরনের ওপেন গেইট পলিসি ফলো করার নির্দেশ দিয়েছেন দরবেশ সালমান।
এর পাশাপাশি ইদানিং কিছু আওয়ামী টপ ক্রিমিনাল (সরকারী আমলা / র এজেন্ট ) কিছু ট্রাঞ্জিট পয়েন্ট চেঞ্জ করেছে – মিডল ইষ্ট না হয়ে সিংগাপুর,থাইল্যান্ড অথবা মালয়েশিয়া হয়ে ইউরোপ আমেরিকা যাচ্ছেন। যাদের নামে সেংশন আছে, এরা অনেক লবিয়িং করছেন যেন আপাতত বিভিন্ন সরকারী কাজের অজুহাত দেখিয়ে দেশের বাহিরে যেতে পারে।