গভীর সংকটে দেশ! নৈশভোটের সরকার পতনের দ্বারপ্রান্তে। পরিবর্তন হলে কার কি হবে কে কোথায় যাবে এ নিয়ে অনেকেই অস্থির। আসন্ন বিপদের আশংকায় সংকট থেকে উত্তরণের কোনো উপায় পাচ্ছে না ক্ষমতাসীনরা। ক্ষমতা টেকাতে মার্কিন মুল্লুকে অযথা চেষ্টাচরিত্র চালাচ্ছেন বিনাভোটের প্রধানমন্ত্রী। অথচ সমস্যা এবং সমাধান দুটোই দেশে রয়েছে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত সিজিএসের অনুষ্ঠানে গতকালই বললেন, “বাংলাদেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায় বিশ্ব। আগামী নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে আন্তর্জাতিক মহল। রাজনৈতিক অস্থিরতা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বাধা।” এটা কিন্তু চরম একটা সতর্ক বাণী। এর মর্মবাণী বুঝতে পারলে তাদের উচিত, চুড়ান্ত ধংসের আগেই সংকট নিরসন করা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা আলমগীর সরকারকে বলেছেন, সংসদ ভেঙে দিয়ে পদত্যাগ করতে। ফলে দেখা যাচ্ছে, সরকারের মধ্যে ক্ষমতা হারানোর ভয় এবং মাটি কামড়ে থাকার চেষ্টা যেমন আছে, বিরোধী দল তেমনি সরকারের পতন ঘটাতে চুড়ান্ত আঘাত করতে প্রস্তুত। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক কূটনীতিও সরকারের অবস্খানের সাথে বৈরি হয়ে উঠেছে।
চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অবিশ্বাস সমাধানে বন্ধুদের দুতিয়ালী হতে পারে। কিন্তু সমঝোতাটা হতে হবে ক্ষমতার দাবীদার প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি এবং আওয়ামীলীগের মধ্যে। যিনি ক্ষমতা থেকে বিদায় নিবেন, তার ভয়টা যেহেতু বেশি, তাই বিনা ভোটের প্রধানমন্ত্রী চাইলে এখনও জাতীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কাছে ছুটে যেতে পারেন সংকট সমাধানের জন্য। সবার নিশ্চয় স্মরণে আছে ২০১৩ সালে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজেনার কাছে তিনি জানতে চেয়েছিলেন, “বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আমাকে জেলে পাঠাবে কি না?” জবাবে বেগম জিয়া কিন্তু সমঝোতার কথা বলেছিলেন, প্রতিহিংসা না করার কথা বলেছিলেন। কাজেই চলমান জাতীয় সংকটের সমাধান এখনও দেশনেত্রীর কাছে আছে। তিনি ডাক দিলে দেশের রাজনীতি যেমন ঠিক করতে পারবেন, তেমনি দেশের জনগনও শান্ত থাকবে। এই ক্ষমতা দেশের আর কারও কাছে আছে বলে মনে হয় না। নব্বইয়ের মত সবার শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। তাহলে হয়ত দেশ বেঁচে যেতে পারে আরও রক্তক্ষয় ছাড়াই।