বিশেষ রিপোর্ট : পুলিশ এবং প্রশাসনকে ব্যবহার করে শেখ হাসিনা জাতীয় নির্বাচনকে হাস্যকর বিষয়ে পরিণত করেছেন। ৩০ ডিসেম্বর রোববার ভোটের আগের রাতেই সারাদেশের প্রতিটি আসনের প্রতিটি কেন্দ্রেই পুলিশ এবং প্রশাসনকে ব্যবহার করে ৮০ পার্সেন্ট ব্যালটে সিল মেরে রাখে। কোথাও কোথাও অস্ত্রের মুখে প্রিসাইডিং অফিসারের কাছ থেকে ব্যালট বাসায় নিয়ে গিয়ে স্বামী স্ত্রী পরিবার পরিজন সবাই মিলে ভোট ডাকাতিতে মেতে ওঠে। ব্যালটে নৌকা মার্কায় সিল মারে। ভোট ডাকাতির এই অবৈধ উৎসবে শিশুরাও বাদ যায়নি। মা-বাবা কিংবা স্বজনদের ভোট ডাকাতিতে শিশুরাও অংশ নিয়েছে। জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে এমন অসভ্যতা একমাত্র শেখ হাসিনার পক্ষেই সম্ভব।
যে কয়দিন ভোটের দিন রোববার ভোট দেয়ার সুযোগ পেয়েছেন তাদেরকে ভোট দিতে হয়েছে নৌকা মার্কায়। ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী শাহেদ সিনহা। তিনি ভোট দিয়েছেন নৌকায়। তার সঙ্গে ছিল তারা নাবালক সন্তান। জনগণের ভোট নিয়ে শেখ হাসিনা এতটাই নির্লজ্জতার আশ্রয় নিয়েছেন, এক অপদার্থ পিতার সঙ্গে তার নাবালক শিশুও ভোট দেয়। এই অপদার্থ পিতা ভোটে দিয়ে আঙুলে কালি লাগিয়ে ডেলফি তুলেছেন। কিন্তু নাবালক সন্তানটিকে কেন নষ্ট করা হলো? এই অপদার্থ পিতা জানেন, দেশে কোন আইন নেই তাই শেখ হাসিনাকে খুশি করতে বেআইনি কাজ করেছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেছেন, ক্ষমতার লোভে শেখ হাসিনা নিজেকে যেমন কালিমালিপ্ত করেছেন, একইভাবে দেশ ও জনগণকে কালিমালিপ্ত করেছেন।