ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদ বৃহস্পতিবার ৫টার দিকে তিনি বাসায় ফেরেন। ঐদিন সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে সাংবাদিকেরা তার বাসায় যান। এ সময় সাংবাদিকদের তিনি জানান, “বেশি চাপ অনুভব করাতে আমি নির্বাচন থেকে সরে গেছি। আমি মানসিকভাবে ভেঙে গিয়েছিলাম। নির্বাচন শেষ হয়েছে, আমি চলে এসেছি।” কোথায় ছিলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি ছিলাম আমার একটি জায়গায়।’ সরে দাঁড়ানোর জন্য কেউ কোনো চাপ বা ভয়ভীতি দেখিয়েছে কি না, জানতে চাইলে স্ত্রী মেহেরুননিছা মেহরীন তাকে থামিয়ে দেন।
আবু আসিফ আহমেদ আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচনে বেসরকারিভাবে জয়ী বিএনপির দলছুট নেতা আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তিনি। গত ২৭ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১১টার পর থেকে আবু আসিফের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। নিখোঁজের ৯২ ঘণ্টা পর তার সন্ধানে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলমের কাছে লিখিত আবেদন করেছিলেন তার স্ত্রী মেহেরুননিছা।
সূত্রমতে, উকিল আবদুস সাত্তারের জন নিশ্চিত করতে সরকারের একটি সংস্থা তাকে গুম করে আটকে রাখে। নির্বাচন শেষ হলে কোনো কিছু প্রকাশ করা যাবে না ভয়ভীতি দিয়ে ছেড়ে দেয়। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের অপহূত স্বামী আবু বকরকে একটি সংস্খা গুম করে। পরে চারিদিক থেকে চাপ সৃষ্টি করা হলে রাত্রে ছেড়ে দেয় বটে, কিন্তু অদ্যাবধি জানা যায়নি কারা গুম করেছিল। ২০২১ সালের ১৮ জুলাই ইসলামী বক্তা আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনানকে গুম করা হয়, পরে তাকে কচুক্ষেতের ডিজিএফআই অফিসে লোকেট করা হয়, এটি প্রচার হয়ে গেলে তাকে অক্ষত ছেড়ে দিয়ে নিজেই আত্মগোপন করেছিল মর্মে সংবাদ তৈরি করে পুলিশ।